কচু ও লতি(Taro & Taro vine)

কচু ও লতি(Taro & Taro vine) বাংলাদেশের গ্রামীণ জীবনে কচু ও লতি একটি অত্যন্ত পরিচিত এবং জনপ্রিয় সবজি। এটি কেবল স্বাদে অনন্য নয় , বরং স্বাস্থ্য উপকারিতার দিক থেকেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কচু ও লতি দুইটিই কচু গাছের অংশ এবং এগুলো অনেকভাবে রান্না করে খাওয়া হয়। কচুর পরিচয়: কচু ( Colocasia esculenta) হলো একটি গুল্মজাতীয় উদ্ভিদ যা মূলত এর কন্দ (গাঁটে) ও পাতা খাওয়ার জন্য চাষ করা হয়। এটি অনেক জাতের হয়ে থাকে যেমন- পানিকচু , মুখীকচু , মানকচু , দুধকচু , এবং শোলাকচু। কচু গাছের প্রায় সব অংশই খাওয়া যায় — পাতা , লতি (ডাঁটা) ও কন্দ। কচুর উৎপত্তি: কচু র বৈজ্ঞানিক নাম: Colocasia esculenta। এটি একটি প্রাচীন সবজি ও শাকজাতীয় উদ্ভিদ। এর উৎপত্তি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় , বিশেষ করে ভারত , বাংলাদেশ , ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়া অঞ্চলে হয়েছে বলে মনে করা হয়। মূল উৎপত্তির অঞ্চল: দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ভারতীয় উপমহাদেশ পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জ । কচু চাষের ইতিহাস: প্রায় ৫০০০ বছর আগে থেকেই কচু মানুষের খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এটি প্রাচীন মিশর , চীন , ভারত এবং আফ্রিকার বিভিন্ন অঞ্চলেও চাষ হতো। বর্তম...