মরিচ(Chili)

                                              
 
মরিচ(Chili)

 মরিচের পরিচয়:মরিচ বা কাঁচা লঙ্কা হলো ক্যাপসিকাম গণভুক্ত সোলানেসি (Solanaceae) পরিবারের একটি ঝাল স্বাদের মসলা জাতীয় ফল। এটি মূলত আমেরিকা মহাদেশে উৎপত্তি হলেও বর্তমানে বিশ্বজুড়ে রান্না ও ঔষধি কাজে ব্যবহৃত হয়। মরিচে থাকা ক্যাপসেইসিন নামক উপাদান এর ঝাল স্বাদের জন্য দায়ী। মরিচের বৈজ্ঞানিক নাম Capsicum annuum এবং ইংরেজি নাম Chili Pepper বা Hot Pepperএটি রান্নায় স্বাদ ও ঝাল বৃদ্ধিতে ব্যবহৃত হয় এবং কাঁচা, শুকনো ও বিভিন্ন রঙের প্রকারে পাওয়া যায়।

 

মরিচের উৎপত্তি:মরিচের উৎপত্তি মূলত মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকায়, বিশেষ করে মেক্সিকো এবং পেরুর অঞ্চলে। প্রায় ৬,০০০ বছর আগে আদিম মানুষ মরিচ চাষ শুরু করে১৬শ শতাব্দীতে ইউরোপীয় অভিযাত্রী, যেমন ক্রিস্টোফার কলম্বাস, মরিচকে আমেরিকা থেকে ইউরোপে নিয়ে আসেন, যা কলম্বিয়ান এক্সচেঞ্জের অংশ ছিল। এর ফলে মরিচ বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে এবং বর্তমানে এটি পৃথিবীর প্রায় সব দেশে জনপ্রিয় মসলা হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়া, যেমন ভারত, বাংলাদেশ, এবং পাকিস্তানে মরিচ রান্নার একটি অপরিহার্য উপাদান হয়ে উঠেছে।

বাংলাদেশে ও অন্যান্যদেশে প্রচলিত মরিচের জাতসমূহ ও তাদের বৈশিষ্ট্য:

বারি মরিচ এর সকল জাত বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (BARI) উদ্ভাবন করেন।

মরিচের জাত

মরিচের বৈশিষ্ট্য

বারি মরিচ-১

 

সারা বছর চাষযোগ্য

স্থানীয়ভাবে "বাংলা লংকা" নামে পরিচিত

কাঁচা ও শুকনা উভয় অবস্থায় ব্যবহারযোগ্য

ফলন বেশি, গাছে ফল ধরে প্রচুর

বারি মরিচ-২

গ্রীষ্মকালীন চাষের জন্য উপযুক্ত

ঝাল কম

সবজির মরিচ হিসেবে ব্যবহৃত হয়

শক্ত গাছ ও উচ্চ ফলনশীল

বারি মরিচ-৩

 

শীতকালীন চাষে উপযোগী

শুকনো মরিচ উৎপাদনের জন্য ভালো

রঙ উজ্জ্বল লাল

বাণিজ্যিকভাবে লাভজনক

বারি মরিচ-৪

উন্নত মানের শুকনো মরিচ

ভালো রঙ ও গুঁড়ার মান

বিনা মরিচ-২

 

উচ্চ ফলনশীল

ঝোপালো গাছ

প্রতি গাছে অধিক মরিচ ধরে

দিপা

 

আগাম ফলনশীল

পাতা কোকড়ানো ভাইরাস সহনশীল

উচ্চ তাপমাত্রা সহ্য করতে পারে

ডাউই

বর্ষাকালে চাষ উপযোগী

অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত ও ভাইরাস প্রতিরোধী

নাগাফায়ার

 

Agro-1 Seed এর হাইব্রিড জাত

অত্যন্ত ঝাল

দেশি কাঁচা মরিচ

 

ঝাল বেশি

ছোট আকৃতির

গ্রামীণ এলাকায় জনপ্রিয়

পাকা মরিচ

 

পরিপক্ক অবস্থায় সংগ্রহ

শুকিয়ে গুঁড়া করে মসলা হিসেবে ব্যবহার

নাগা মরিচ

 

বিশ্বের অন্যতম ঝাল মরিচ

বাংলাদেশ ও ভারতের নাগাল্যান্ডে পাওয়া যায়

ভূত জলকিয়া

 

ভারতের আসাম অঞ্চলের

অতিমাত্রায় ঝাল

ক্যারোলিনা রিপার

গিনেস রেকর্ডধারী বিশ্বের সবচেয়ে ঝাল মরিচ

বেল মরিচ

 

মিষ্টি স্বাদের

লাল, হলুদ, সবুজ রঙের

সালাদ ও রান্নায় ব্যবহৃত

ঝাল মরিচ

 

তীব্র ঝাল

সস ও মশলায় ব্যবহারযোগ্য

হাবানেরো মরিচ

ক্যারিবিয়ান রান্নায় জনপ্রিয়

খুব ঝাল

জালাপেনো মরিচ

মাঝারি ঝাল

মেক্সিকান খাবারে প্রচলিত

 অন্যান্য জনপ্রিয় বাণিজ্যিক জাত:

সনিক, প্রিমিয়াম, ধুম, মেজর, ডেমন, চন্দ্রমুখী, হটমাস্টার, এম এস ফায়ার, যমুনা অধিক ফলনশীল ও রোগ প্রতিরোধী

মরিচের প্রধান পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা:

ভিটামিন সি: মরিচে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে এবং ত্বক ও চুলের জন্য উপকারী।আয়রন হজমে সাহায্য করে।

ভিটামিন এ:এটি চোখের স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এবং দৃষ্টিশক্তি উন্নত করতে সাহায্য করে।

হাড়, দাঁত এবং মিউকাস মেমব্রেনকে (যেমন নাক ও মুখের ভেতরের স্তর) সুস্থ রাখে।

ভিটামিন বি৬:শরীরের কার্যকারিতা বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

ফাইবার:মরিচে ফাইবারের উপস্থিতি পাচনতন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী এবং এটি কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে সাহায্য করে এবং গ্যাস বা অম্বলের সমস্যা দূর করে।

অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও বিটা-ক্যারোটিন:মরিচে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান থাকে, যা শরীরের কোষকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে এবং বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি কমায়।

ক্যাপসাইসিন:মরিচের ঝাল স্বাদ দেওয়া উপাদান ক্যাপসাইসিন,এটি মরিচের ঝাল স্বাদের জন্য দায়ী এবং এর মধ্যে থাকা এই উপাদানটি শরীরের মেটাবলিজম বাড়িয়ে ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। 

এন্ডোরফিন নিঃসরণ:মরিচ খেলে মস্তিষ্কে এন্ডোরফিন নামক হরমোন নিঃসৃত হয়, যা মনকে সতেজ রাখে এবং মানসিক চাপ ও বিষণ্ণতা কমাতে সাহায্য করে।

খনিজ:মরিচে পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং আয়রনের মতো খনিজ উপাদানও থাকে, যা শরীরের বিভিন্ন কার্যক্রমে সহায়ক।

প্রতি ১০০ গ্রাম কাচা মরিচে পুষ্টি উপাদান:



পুষ্টি উপাদান (আনুমানিক প্রতি ১০০ গ্রাম কাঁচা মরিচের জন্য)

শক্তি (Energy): 40 কিলোক্যালরি

জলীয় অংশ: ৮৭৮৯%

কার্বোহাইড্রেট: ৮গ্রাম

ভিটামিন সি: ১০৯ মিলিগ্রাম

ভিটামিন এ: ৫৩০ আইইউ

ভিটামিন বি৬: ০.১ মিলিগ্রাম

ভিটামিন K: ১৪.৪ মাইক্রোগ্রাম

ভিটামিন E: ০.৬৯ মি.গ্রা.

পটাসিয়াম: 322 মিলিগ্রাম

আয়রন: .০ মিলিগ্রাম

তামা: ০.১ মিলিগ্রাম

অ্যামিনো অ্যাসিড: উপস্থিত থাকে

প্রোটিন: ১.৮৭ গ্রাম

চর্বি: 0.4 গ্রাম

আঁশ (Fiber): ১.৫ গ্রাম

ক্যালসিয়াম: ১৮ মি.গ্রা.

ফসফরাস: ৪৩ মি.গ্রা.

ম্যাগনেশিয়াম: ২৩ মি.গ্রা.

সোডিয়াম: ৭ মি.গ্রা.

খাদ্যদ্রব্যে মরিচের ব্যবহার:

মশলা হিসেবে রান্নায় ব্যবহার:ঝাল স্বাদ ও সুগন্ধ যোগ করার জন্য এটি রান্নায় ব্যবহৃত হয়। মরিচের সবচেয়ে প্রচলিত ব্যবহার হচ্ছে রান্নায় ঝাল স্বাদ আনার জন্য।কাঁচা মরিচ, শুকনো মরিচ ও মরিচ গুঁড়া এই তিন রূপেই ব্যবহৃত হয়।তরকারি, ভাজি, ভর্তা, ভুনা, স্যুপ, সালাদ, আচার প্রভৃতি খাবারকে সুস্বাদু করার জন্য মরিচ অপরিহার্য। 

ঐতিহ্যবাহী ঔষধ:মরিচে থাকা Capsaicin উপাদানটি ব্যথানাশক, প্রদাহরোধী ও হজমকারক হিসেবে কাজ করে।সর্দি-কাশি, গ্যাস্ট্রিক ও বাত ব্যথার ক্ষেত্রে উপকার করে।প্রাচীনকাল থেকেই এটি ঐতিহ্যবাহী ঔষধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। 

আচার ও সংরক্ষণে:কাঁচা মরিচ দিয়ে বিভিন্ন ধরণের আচার তৈরি করা হয়।অনেক সময় শুকনো মরিচ সংরক্ষণ করে সারা বছর ব্যবহার করা হয়।

সালাদ:কাঁচা মরিচ কাটা সালাদে ব্যবহার করা হয়, যা তাজা স্বাদ এবং ক্রাঞ্চি টেক্সচার যোগ করে।

টপিং:পিজ্জা, পাস্তা, এবং অন্যান্য খাবারে মরিচ টপিং হিসেবে ব্যবহার করা হয়।

শরীরচর্চা ও ওজন নিয়ন্ত্রণে:Capsaicin চর্বি পোড়াতে সাহায্য করে, ফলে ওজন কমাতে সহায়তা করে।

মরিচের ক্যাপসাইসিন উপাদান মেটাবলিজম বাড়াতে সাহায্য করে এবং এটি ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক।

জৈব কীটনাশক তৈরিতে:মরিচের রস দিয়ে প্রাকৃতিক কীটনাশক তৈরি হয় যা ক্ষতিকর পোকামাকড় দূর করে।

শিল্প ও প্রসাধনী:কিছু হেয়ার অয়েল, ব্যথানাশক জেল বা ক্রিমে মরিচ থেকে প্রাপ্ত Capsaicin ব্যবহার হয়।

মরিচের অপকারিতাগুলো হলো:

হজমের সমস্যা: মরিচের অতিরিক্ত ব্যবহার হজমের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে, বিশেষ করে যারা আগে থেকেই গ্যাস্ট্রাইটিস বা আলসার সমস্যায় ভুগছেন।অতিরিক্ত ঝাল খাবার খেলে পাকস্থলীতে জ্বালাপোড়া হতে পারে এবং পেটের আলসার হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। 

অ্যাসিডিটি ও গ্যাস্ট্রিক:অতিরিক্ত মরিচ খেলে পেটের সমস্যা, যেমন অ্যাসিডিটি, গ্যাস বা ডায়রিয়া হতে পারে।বিশেষ করে যাদের হজমজনিত সমস্যা আছে, তাদের জন্য এটি ক্ষতিকর।মরিচের ক্যাপসাইসিন উপাদান গ্যাস্ট্রিক এবং অ্যাসিডিটির সমস্যা তৈরি করতে পারে। 

ত্বকের সমস্যা:  অতিরিক্ত ঝাল খেলে ত্বকে অ্যালার্জির সমস্যা, ফুসকুড়ি ও লালচে দাগ দেখা দিতে পারে। 

পেটের আলসার:দীর্ঘদিন অতিরিক্ত ঝাল খেলে পাকস্থলীতে আলসারের ঝুঁকি বাড়ে। মরিচের Capsaicin উপাদানটি পাকস্থলীর দেয়ালে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে।

ক্যান্সারের ঝুঁকি: শুকনা মরিচে অ্যাফ্লাটোক্সিন নামক এক ধরনের ক্ষতিকর যৌগ থাকে, যা লিভার, পাকস্থলী ও কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। 

অস্ত্রোপচারের সময় ঝুঁকি: বেশি পরিমাণে কালো মরিচ খেলে অস্ত্রোপচারের সময় রক্তপাত বা রক্তে শর্করার মাত্রা প্রভাবিত হওয়ার ঝুঁকি থাকে। 

অস্বস্তি ও অতিরিক্ত ঘাম: অতিরিক্ত মরিচ খেলে শরীরে অস্বস্তি হতে পারে এবং ঘাম বেশি হতে পারে। 

রক্তচাপ:কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যে, অতিরিক্ত মরিচ খাওয়া রক্তচাপ বাড়াতে পারে।

মুখ ও গলায় জ্বালাপোড়া:অনেক সময় কাঁচা মরিচ বা ঝাল খেলে মুখে, জিহ্বায় ও গলায় তীব্র জ্বালাপোড়া হয়, যা অস্বস্তিকর।

পাইলস এর সমস্যা:অতিরিক্ত ঝাল খেলে মলত্যাগের সময় জ্বালাপোড়া বা ব্যথা হতে পারে। এটি পাইলস বা অর্শ রোগীদের জন্য মারাত্মক।

চোখ ও ত্বকে জ্বালা:মরিচ কাটার সময় হাতে লাগলে এবং তা চোখে গেলে তীব্র জ্বালা সৃষ্টি হয়। ত্বকে লাগলেও এলার্জি বা জ্বালা হতে পারে।

লিভারের উপর চাপ:অতিরিক্ত মরিচ খেলে লিভারের কার্যক্ষমতার উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

বাচ্চা ও বৃদ্ধদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ:অত্যধিক ঝাল খাবার শিশু ও বয়স্কদের জন্য হজমে সমস্যা, ঘুমে বিঘ্ন ও গ্যাস্ট্রিকের কারণ হতে পারে।

নাক-কান-গলায় জটিলতা:ঝাল খেলে কারও কারও নাক দিয়ে পানি পড়া,হাঁচি বা গলায় ব্যথা হয়।

মরিচের চাষাবাদ:



জমি নির্বাচন ও প্রস্তুতি

আবহাওয়া ও মাটি:

আবহাওয়া: মরিচ গরম ও শুষ্ক জলবায়ু পছন্দ করে। চাষের জন্য ২৫-৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা উপযুক্ত।

মাটি: দোআঁশ বা বেলে দোআঁশ মাটি ভালো। pH ৫.৫-৬.৮ হলে মরিচ ভালো হয়। জমিতে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা থাকতে হবে।

সৌর ও বাতাস:

জমিতে পর্যাপ্ত আলো ও বাতাস চলাচল থাকা জরুরি। 

বেড তৈরি:

মরিচ চাষের জন্য উঁচু বেড তৈরি করতে হবে, যা পানি নিষ্কাশনে সাহায্য করে। 

মালচিং:

বেড তৈরির পর মালচিং ফিল্ম ব্যবহার করা ভালো, যা মাটির উর্বরতা ও আর্দ্রতা রক্ষা করে। 

জমি প্রস্তুতি:

জমি গভীরভাবে চাষ করতে হবে।

জমি তৈরির সময় সমুদয় গোবর, টিএসপি ও কিছু এমওপি সার প্রয়োগ করতে হবে।

পরে ৩-৪ টি মই দিয়ে জমি সমান করতে হবে।

বীজ বপন ও চারা প্রস্তুত:

চারা তৈরি করতে হলে প্রথমে নার্সারিতে বীজ বপন করতে হয়।

চারা বপনের ২৫-৩০ দিনের মধ্যে চারা জমিতে রোপণ করা যায়।

সার প্রয়োগ:

জৈব সার ছাড়াও ইউরিয়া, টিএসপি, এমওপি, বোরন, জিপসাম ইত্যাদি প্রয়োগ করা হয়।

সার প্রয়োগ ভাগে ভাগ করে করতে হয় (বপনের সময়, ২০ দিন পরে ও ফুল আসার সময়)।

সেচ ও আগাছা নিয়ন্ত্রণ:

অতিরিক্ত সেচ না দিয়ে প্রয়োজন অনুযায়ী সেচ দিতে হবে।

আগাছা পরিষ্কার করতে হবে ২-৩ বার।

ফুল ও ফল:

চারা লাগানোর ৪০-৫০ দিন পর ফুল ও ফল আসতে শুরু করে।

প্রতি গাছে ৩০-১০০ টির বেশি মরিচ আসতে পারে (জাতভেদে ভিন্ন)।

সংগ্রহ ও সংরক্ষণ:

ফল পরিপক্ব হলে ৭-১০ দিন অন্তর অন্তর সংগ্রহ করা যায়।

শুকিয়ে সংরক্ষণ করতে হলে রোদে ভালোভাবে শুকাতে হবে।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

শসা(Cucumber)

কাকরোল (Spiny Gourd)

টমেটো(Tomato)