পোস্টগুলি

এপ্রিল, ২০২৫ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

Featured Post

জলপাই(Olive)

ছবি
জলপাই(Olive)  জলপাই চিরসবুজ একটি ফলবাহী গাছ , এটি “Oleaceae” গোত্রের “Olea europaea” নামক গাছের ফল। যার বৈজ্ঞানিক নাম  Olea europaea । এটি মূলত ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের উদ্ভিদ । বর্তমানে বাংলাদেশেও জলপাইয়ের বাণিজ্যিক চাষ অধিক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। জলপাই  উৎপত্তি ও ইতিহাস জলপাই গাছের উৎপত্তি মনেকরা হয় আনুমানিক ৬ , ০০০ বছর পূর্বে ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে।বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থ বিশেষ করে বাইবেল ও কুরআন শরিফ এ জলপাইয়ের কথা উল্লেখ করা হয়েছে । পবিত্র কুরআনে আল্লাহ বলেন , “ জলপাই গাছ , যা পূর্ব কিংবা পশ্চিমের নয় ” । জলপাই  গাছের পরিচিতি জলপাই গাছ মোটামূটি মাঝারি আকারের হয় যা উচ্চতায় প্রায় ৭ - ১৭ মিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে।এর পাতাগুলো সবুজ রঙের এবং লম্বা । ফুলগুলো ছোট ও সাদা। ফল প্রথমে সবুজ , বয়স হওয়ার সাথে সাথে কালচে বেগুনি বা কালো বর্ণ এর হয়।গাছটি দীর্ঘজীবী অনেক বছর ধরে বেঁচে থাকে। জলপাই এর  পুষ্টিমান জলপাই পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ একটি ফল . জলপাইয়ের উপকারিতা পরিপাকতন্ত্রের উন্নতি: জলপাইয়ের খোসায় থাকা আঁশ হজমে সাহায্য করে ও গ্যাস্ট্রিক-আলসার কমায়। হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়: ...

কাঁঠাল( Jackfruit)

ছবি
কাঁঠাল(Jackfruit)   কাঁঠালের পরিচয়: বাংলা নাম: কাঁঠাল   ইংরেজি নাম: Jackfruit    বৈজ্ঞানিক নাম: Artocarpus Heterophyllus    পরিবার: Moraceae    কাঁঠাল বাংলাদেশে জাতীয় ফল হিসেবে পরিচিত। এটি বৃহৎ আকারের ও সুগন্ধযুক্ত ফল। কাঁঠালের  উৎপত্তি : এটি একটি গ্রীষ্মপ্রধান ফল যা দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় বিশেষভাবে পরিচিত। কাঠালের উৎপত্তি দক্ষিণ এশি য়া র বনাঞ্চল থেকে , বিশেষ করে বাংলাদেশ ভারত , এবং শ্রীলঙ্কা থেকে। এটি বাংলাদেশের জাতীয় ফল এবং গ্রামীণ জীবনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। কাঠাল গাছ সাধারণত ২০-২৫ মিটার উচ্চতায় বৃদ্ধি পায় এবং এর ফলগুলি গাছের   শাখায়   জন্মায়। কাঁঠালের  প্রকারভেদ:   কাঠালের বিভিন্ন প্রকারভেদ র য়ে ছে , যা তাদের আকার , রঙ এবং স্বাদের উপর ভিত্তি করে আলাদা করা যায়। কিছু সাধারণ প্রকারভেদ হলো: ১. হিন্দোল কাঠাল: এটি সাধারণত ছোট এবং মিষ্টি স্বাদের হয়। ২. চাঁপা কাঠাল: এটি ব ড় এবং মিষ্টি স্বাদের হয় , যা সাধারণত রান্নায় ব্যবহৃত হয়। ৩. কোয়া কাঁঠাল: এর কোয়া বড় ও নরম , খেতে রসালো ও সুস্বাদু।  ৪ ...

কলা(Banana)

ছবি
কলা(BANANA) কলার পরিচয়:   কলা বাংলাদেশের একটি জনপ্রিয় ও পুষ্টিকর ফল। যার বৈজ্ঞানিক নাম: Musa acuminate. এটি একটি বৃহৎ গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ , যার কান্ডটি মাংসল এবং পাতাগুলি বেশ বড় হয়। কলা সাধারণত মিষ্টি স্বাদের এবং এটি সারা বিশ্বে একটি প্রিয় ফল   হিসেবে   পরিচিত। তবে ঔষধি গুণের কারণেও ব্যবহৃত হয়।    কলার  উৎপত্তি: কলা চাষের ইতিহাস প্রায় ৭০০০ বছর পুরনো। বর্তমানে , কলা বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে চাষ করা হয় , বিশেষ করে গ্রীষ্মমণ্ডলীয় এবং উপ-গ্রীষ্মমণ্ডলীয়   অঞ্চলে।চাষাবাদকলার চাষ সাধারণত উষ্ণ এবং আর্দ্র আবহাওয়া পছন্দ করে। এটি ২৫-৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় ভালোভাবে বৃদ্ধি পায়। কলার গাছ সাধারণত ২-৩ মিটার উচ্চতায় বৃদ্ধি পায় ।   কলার উৎপত্তি নিয়ে মতভেদ থাকলেও ধারণা করা হয় , এটি নিউ গিনি এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশি য়া তে প্রথম উদ্ভূত হয়। বাংলাদেশ , ভারত , ফিলিপাইন , ইন্দোনেশিয়া এবং মাল য়ে শি য়া অঞ্চলে প্রাচীনকাল থেকেই কলার চাষ হচ্ছে। এটি পরে আফ্রিকা , আমেরিকা ও ইউরোপেও ছড়িয়ে পড়ে।    কলা  খাওয়ার প্রক্রিয়া:   কলা খেতে খুবই সহজ। পাকা কলার খোসা...

তরমুজ(Watermelon)

ছবি
তরমুজ(Watermelon) তরমুজের পরিচয়:   তরমুজ , যা ইংরেজিতে " Watermelon" নামে পরিচিত , তরমুজ একটি গ্রীষ্মকালীন রসালো ফল। এর বৈজ্ঞানিক নাম Citrullus lanatus এবং এটি Cucurbitaceae পরিবারের অন্তর্ভুক্ত। তরমুজের বাইরের খোসা সবুজ রঙের ও শক্ত হয় , আর ভিতরের অংশ লালচে রঙের ও রসালো , এতে ছোট ছোট কালো বীজ থাকে।তরমুজের রসালো এবং মিষ্টি স্বাদ , পাশাপাশি এর উচ্চ পানিবাহী উপাদান , এটি গ্রীষ্মের তাপ থেকে রক্ষা করতে   সাহায্য   করে। এটি গরমের দিনে মানুষের দেহে পানির ঘাটতি পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তরমুজের   উৎপত্তি :  তরমুজের উৎপত্তি আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চল থেকে।প্রাচীনকালে মিশরীয়রা তরমুজ চাষ করত এবং এটি পিরামিডে মৃতদের সাথে কবরেও রাখা হতো।ইতিহাসবিদদের মতে , তরমুজের প্রথম চাষ শুরু হয়েছিল প্রায় ৫০০০ বছর আগে। পরবর্তীতে এটি ইউরোপ , এশিয়া এবং আমেরিকায় বিস্তার লাভ করে। তরমুজের   প্রকারভেদ : ১. সুলভ জাত ২. হলুদ তরমুজ ৩. সিডলেস তরমুজ ৪. ক্রিমসন সুপার তরমুজ ৫ . পিকনিক তরমুজ ( ছোট ) ৬. রেড-সিডেড তরমুজ ৭. হাইব্রি...