পোস্টগুলি

জুন, ২০২৫ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

লাউ( bottle gourd/calabash)

ছবি
লাউ/কদু(   bottle gourd/calabash ) লাউ এর পরিচয়: লাউ, যা "লাউ" বা "লাউ গুটি" নামে পরিচিত, এটি Cucurbita family এর একটি উদ্ভিদ। বৈজ্ঞানিক নাম: Lagenaria siceraria. এটি এক প্রকার লতানো গাছ, যার ফল লম্বাটে ও সবুজ। সবজি হিসেবে লাউ অত্যন্ত জনপ্রিয় এবং এর স্বাদ মিষ্টি। লাউ গাছের কচি পাতা ও ডগা লাউ শাক নামে খাওয়া হয়।  এটি আঁশযুক্ত এবং হালকা সবুজ রঙের হয়।এটি দ্রুত বৃদ্ধি পায় এবং সাধারণত গ্রীষ্মকালীন মৌসুমে পাওয়া যায়।  লাউয়ের উৎপত্তি ও বিকাশ: লাউয়ের উৎপত্তি দক্ষিণ এশিয়ায়।বহু আগে থেকেই এটি বাংলাদেশ, ভারত, চীন, আফ্রিকা প্রভৃতি দেশে চাষ হয়। বর্তমানে এটি বিভিন্ন দেশে পাওয়া যায়।লাউয়ের গাছ সাধারণত ৩-৪ মিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়। এটি একটি লতানো গাছ, যা মাটির উপর বা অন্য গাছের উপর বেড়ে ওঠে। গাছের ফুল হলুদ রঙের এবং ফল সাধারণত সবুজ রঙের হয়। লাউ এর জাত (Varieties of Bottle Gourd): লাউ (Lagenaria siceraria) একটি জনপ্রিয় সবজি। বাংলাদেশে বিভিন্ন জাতের লাউ চাষ হয়ে থাকে। নিচে কিছু পরিচিত জাত তুলে ধরা হলো: ১. দেশি লাউ:      সাধ...

আম(Mango)

ছবি
  আম(Mango) আম এর পরিচয়:   বাংলা নাম: আম ইংরেজি নাম: Mango বৈজ্ঞানিক নাম: Mangifera indica  আম, যা "King of Fruits"অর্থাৎ“ফলের রাজা” নামে পরিচিত, একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় এবং সুস্বাদু ফল। আম এর   উৎপত্তি ও বিকাশ: আমের আদি উৎপত্তি ভারত, বাংলাদেশ ও মিয়ানমার অঞ্চলে। এটি প্রাচীনকাল থেকে চাষ করা হচ্ছে এবং বর্তমানে এটি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জনপ্রিয়। বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়া, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং মধ্যপ্রাচ্যে আমের চাষ ব্যাপকভাবে হয়। প্রায় ৪ হাজার বছর আগে থেকে আম চাষ হয়ে আসছে। এখন এটি পৃথিবীর অনেক দেশেই চাষ করা হয়, যেমন: ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ফিলিপাইন, থাইল্যান্ড, মেক্সিকো। আমের গাছ সাধারণত ১০-৪০ ফুট উচ্চতা পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়। এটি গ্রীষ্মমন্ডলীয় জলবায়ুতে ভালোভাবে বেড়ে ওঠে। গাছের ফুলগুলো সাধারণত সাদা বা হলুদ রঙের হয় এবং ফল পাকা হলে হলুদ, লাল বা সবুজ রঙ ধারণ করে। আম এর  প্রকারভেদ ও বৈশিষ্ট্য:   বাংলাদেশে প্রায় ৩০০ প্রজাতির আম পাওয়া যায়, তার মধ্যে জনপ্রিয় কয়েকটি হলো:  1. হিমসাগর (ক্ষিরসাপাত)     - উৎপত্ত...

ড্রাগন ফল (Dragon Fruit)

ছবি
  ড্রাগন ফল (Dragon Fruit) ড্রাগন ফল এর পরিচয়ঃ ড্রাগন ফল, যা ইংরেজিতে "Dragon Fruit" নামে পরিচিত, একটি অত্যন্ত আকর্ষণীয় এবং পুষ্টিকর ফল। ড্রাগন ফলের বৈজ্ঞানিক নাম Hylocereus undatus। এটিকে পিটা য়া বা মিষ্টি পিটা য়া (Pitaya)ও বলা হয়।  ড্রাগন ফল এক প্রকার ক্যাকটাস জাতীয় উদ্ভিদ, যা সাধারণত গ্রীষ্মমন্ডলীয় অঞ্চলে পাওয়া যায়।  এটি রাতে ফুল ফোটায় এবং ফুলগুলো খুব সুন্দর হয়। ফলগুলি সাধারণত গাছের উপর ঝুলে থাকে এবং পাকা হলে রঙ পরিবর্তন করে। ড্রাগন ফল এর  উৎপত্তি ও বিকাশ:  ড্রাগন ফলের আদি উৎপত্তি মেক্সিকো, মধ্য আমেরিকা ও দক্ষিণ আমেরিকা।  পরে এটি ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়াসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। বাংলাদেশে এটি প্রথম চাষ শুরু হয় ২০১৩-১৪ সালের দিকে। ড্রাগন ফল এর  প্রকারভেদ: ড্রাগন ফলের প্রধান তিনটি প্রকারভেদ রয়েছে: 1. সাদা গুদার ড্রাগন ফল (সাদা ভিতর, গোলাপি বাইরের খোসা) 2. লাল গুদার ড্রাগন ফল (লাল ভিতর ও বাইরের খোসা) 3. হলুদ খোসার ড্রাগন ফল (ভিতরে সাদা, খোসা কাঁটাযুক্ত) ১০০ গ্রাম ড্রাগন ফলের পুষ্টি ...

স্ট্রবেরি(Strawberry)

ছবি
স্ট্রবেরি(Strawberry) স্ট্রবেরি এর পরিচয়ঃ স্ট্রবেরি, যা ইংরেজিতে "Strawberry" নামে পরিচিত, একটি জনপ্রিয় ফল। এর বৈজ্ঞানিক নাম "Fragaria × ananassa"। স্ট্রবেরি সাধারণত তাজা খাওয়া হয় এবং এটি বিভিন্ন ডেজার্ট, সালাদ এবং জুসে ব্যবহৃত হয়। স্ট্রবেরি (Strawberry) একটি সুস্বাদু ও পুষ্টিকর ফল যা বাংলাদেশসহ বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়। স্ট্রবেরির আদি উৎপত্তি উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকা এবং ইউরোপে। প্রাচীনকাল থেকে এটি বিভিন্ন সংস্কৃতিতে পরিচিত ছিল। ১৮শ শতকের দিকে, ইউরোপে স্ট্রবেরির বিভিন্ন প্রজাতি সংকরিত হয়ে আধুনিক স্ট্রবেরির উৎপত্তি ঘটে। আধুনিক স্ট্রবেরির উৎপত্তি হয়েছে ১৮শ শতকে ফ্রান্সে দুটি জাত (Fragaria virginiana ও Fragaria chiloensis) সংকর করে।  বর্তমানে স্ট্রবেরি বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে চাষ করা হয়। স্ট্রবেরি এর  প্রকারভেদ: স্ট্রবেরির অনেক জাত রয়েছে, এর মধ্যে জনপ্রিয় কিছু: ১. Sweet Charlie যা বাংলাদেশে বেশি চাষ হয় ২. Festival ৩. Camino Real ৪. Winter Dawn ৫. Albion – যা উচ্চ ফলনশীল   ১০০ গ্রাম স্ট্রবেরিতে পুষ্টি উপাদান ১০০ গ্রাম স্ট্রবেরিতে থাকা প্রধান...

লেটুস পাতা(Lettuce)

ছবি
লেটুস পাতা(Lettuce)   লেটুস পাতার  পরিচয় ও উৎপত্তি বাংলা নাম: লেটুস পাতা  ইংরেজি নাম: Lettuce  বৈজ্ঞানিক নাম: Lactuca sativa  লেটুস পাতার উৎপত্তি লেটুসের উৎপত্তি প্রাচীন মিশরে, যেখানে এটি প্রথমে একটি খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়। পরে এটি গ্রীক এবং রোমান সভ্যতায় জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। বর্তমানে, লেটুস বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে চাষ করা হয় এবং এটি বিভিন্ন প্রকারে পাওয়া যায়, যেমন রোমান লেটুস, আইসবার্গ, এবং গ্রিন লেটুস। লেটুস পাতার  জাত ১. বাটারহেড লেটুস ( Butterhead Lettuce) এই জাতের লেটুসের পাতা মসৃণ এবং নরম হয়। এর স্বাদ মিষ্টি এবং এটি স্যালাডে   খুব   জনপ্রিয়। ২. রোমেন লেটুস ( Romaine Lettuce) রোমেন লেটুসের পাতা লম্বা এবং শক্ত হয়। এটি স্যালাড এবং স্যান্ডউইচে ব্যবহৃত হয় এবং এর স্বাদ তুলনামূলকভাবে   তাজা। ৩. আইসবার্গ লেটুস ( Iceberg Lettuce) আইসবার্গ লেটুসের পাতা খাস্তা এবং সাদা রঙের হয়। এটি স্যালাডে এবং স্যান্ডউইচে ব্যবহৃত হয় এবং   এর   স্বাদ   হালকা। ৪. লাল লেটুস ( Red Lettuce) এই জাতের লেটুসের পাতা লাল রঙের এবং ...

কাকরোল (Spiny Gourd)

ছবি
কাকরোল (Spiny Gourd) কাকরোল (Spiny Gourd) একটি পুষ্টিকর সবজি যা বর্ষাকালে বেশি পাওয়া যায়। নিচে কাকরোলের পরিচয়, ব্যবহার, উপকারিতা, অপকারিতা ও চাষাবাদ সম্পর্কে বিস্তারিত দেওয়া হলো: কাকরোলের পরিচয়: বাংলা নাম: কাকরোল  ইংরেজি নাম: Spiny Gourd/Teasel Gourd/Bitter Gourd/Bitter Melon বৈজ্ঞানিক নাম: Momordica dioica  পরিবার: Cucurbitaceae এটি দেখতে ছোট ও কাঁটাযুক্ত, সবুজ রঙের হয়। কাকরোল সাধারণত গ্রীষ্ম ও বর্ষাকালে পাওয়া যায়। কাকরোলের  উ ৎপত্তি: কাকরোলের উৎপত্তি দক্ষিণ এশিয়ায় , বিশেষ করে ভারত , বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানে। এটি প্রাচীনকাল থেকে চাষ করা হচ্ছে এবং এর ব্যবহার আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় প্রচলিত। কাকরোলের গাছ সাধারণত উষ্ণ এবং আর্দ্র আবহাওয়ায় ভালোভাবে   বৃদ্ধি   পায় ।   এটি একটি লতানো উদ্ভিদ , যা সাধারণত ঝোপঝাড় বা বেড়ার ধারে জন্মাতে দেখা যায়।   কাকরোলের  জাত: কাকরোলের বেশ কয়েকটি উল্লেখযোগ্য জাত রয়েছে , কিছু জনপ্রিয় জাত হলো: ১. সবুজ কাকরোল: এটি সাধারণত সবুজ রঙের এবং তীব্র তিক্ত স্বাদের হয়। এটি রান্নায় সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়...